ধর্ম নির্ণয়ে বেদই একমাত্র প্রমাণ; পুরাণ এবং স্মৃতি সহায়ক মাত্র

বর্তমানে সনাতন ধর্মাবলম্বী কিছু ব্যক্তি প্রধান ধর্মগ্রন্থ বেদকে পাশ কাটিয়ে শুধু পৌরাণিক গ্রন্থ অথবা বিভিন্ন বাবাগুরুদের লেখা ছড়ার বই, গ...

চট্টগ্রামের কুলদেবী আক্রান্ত ।

চট্টগ্রামের ধর্ম এবং সংস্কৃতির সাথে অবিচ্ছেদ্য হয়ে আছে দেবী মগধেশ্বরী। বৃহত্তর চট্টগ্রামের সকল মাঙ্গলিক কর্মের পূর্বেই দেবী মগধেশ্বরীর পূজা করা হয়। দেবী মগধেশ্বরী হলেন চট্টল বা চট্টগ্রামের কুলদেবী। গত ২৩.১০.২০২১, শনিবার গভীর রাতে আক্রান্ত হয় চট্টলের কুলদেবী মগধেশ্বরীর সেবাখোলা।সাম্প্রদায়িক বর্বর সন্ত্রাসীরা বৃক্ষতলে অবস্থিত মন্দিরটি বিধ্বস্ত করে। সাম্প্রদায়িক বর্বর  সন্ত্রাসী দ্বারা বিধ্বস্ত মগধেশ্বরী দেবীর সেবাখোলাটি সীতাকুণ্ড উপজেলার কুমিরার উত্তর মছজিদ্দা মগপুকুর দক্ষিণ পাড়ায় অবস্থিত।ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাশে বট ও অশ্বত্থ গাছ ঘিরে জগন্নাথ, মগধেশ্বরী ও শীতলা মন্দির। সাথে রয়েছে একটি মহাশ্মশান। প্রায় ৩০ বছর আগে পাশাপাশি মন্দিরগুলো প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। মন্দিরকে কেন্দ্র করে প্রতিবছর তিনটি মহোৎসবের আয়োজন করা হয়।শনিবার রাতের আঁধারে দুর্বৃত্তরা মগেদ্বশ্বরী মন্দিরের গেইট ভাঙার চেষ্টা করে। না পেরে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে এবং বাঁশ দিয়ে ঘট উল্টে দেয়। পাশাপাশি শীতলা মন্দিরের ঘট ভেঙে দিয়ে দেবীর কাপড় ছিঁড়ে দেয়। মগধেশ্বরীর সেবা খোলা শুধু একটি অশ্বত্থ গাছ তলার মন্দির নয়; দেবী মগধেশ্বরীর এ সেবা খোলার সাথে চট্টগ্রামের নাড়ির স্পন্দন রয়েছে। তাই চট্টগ্রামের কোন অধিবাসী যদি দেবী মগধেশ্বরীর সেবা খোলাকে আক্রান্ত করে; তখন বিষয়টি অত্যন্ত ভাবনার বটে। এ আক্রমণকে কিছু জেগে ঘুমানো মানুষ চুরি বলে চালানোর প্রচেষ্টা করছে। কিন্তু এটি কোন সাধারণ চুরি নয়, সাম্প্রদায়িক আক্রমণ। এর প্রথম কারণ, গাছ তলায় অবস্থিত দেবী মগধেশ্বরীর সেবা খোলায় চুরি করার মত সাধারণত খুব একটা কোন মূল্যবান দ্রব্যাদি থাকে না। এবং দ্বিতীয় কারণ, যদি ঘটনাটি সাধারণ চুরিই হত, তবে মন্দিরের ঘটসহ পূজার দ্রব্যাদি ভাঙচুর করা হত না। যে ইটের আঘাতে মন্দিরকে ক্ষত-বিক্ষত করা হয়েছে, সেই খণ্ডবিখণ্ড ইট ছড়িয়ে রয়েছে মন্দির পরিমণ্ডলে। আক্রমণকারীরা পার্শ্ববর্তী সমাধি মন্দিরও ভাঙচুর করেছে। তাই সুস্পষ্টভাবে বোঝা যায়, বিষয়টি সাধারণ চুরি নয়; সংঘবদ্ধ সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাস। এরপরেও যদি মৌলবাদী সন্ত্রাসীদের সুরে সুর মিলিয়ে প্রশাসন ঘটনাটিকে সাধারণ চুরি বলে চিহ্নিত করে; তবে এর থেকে দুঃখজনক আর কি হতে পারে! কুশল বরণ চক্রবর্ত্তী  সহকারী অধ্যাপক,  সংস্কৃত বিভাগ,  চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়
চট্টগ্রামের ধর্ম এবং সংস্কৃতির সাথে অবিচ্ছেদ্য হয়ে আছে দেবী মগধেশ্বরী। বৃহত্তর চট্টগ্রামের সকল মাঙ্গলিক কর্মের পূর্বেই দেবী মগধেশ্বরীর পূজা করা হয়। দেবী মগধেশ্বরী হলেন চট্টল বা চট্টগ্রামের কুলদেবী। গত ২৩.১০.২০২১, শনিবার গভীর রাতে আক্রান্ত হয় চট্টলের কুলদেবী মগধেশ্বরীর সেবাখোলা।সাম্প্রদায়িক বর্বর সন্ত্রাসীরা বৃক্ষতলে অবস্থিত মন্দিরটি বিধ্বস্ত করে। সাম্প্রদায়িক বর্বর সন্ত্রাসী দ্বারা বিধ্বস্ত মগধেশ্বরী দেবীর সেবাখোলাটি সীতাকুণ্ড উপজেলার কুমিরার উত্তর মছজিদ্দা মগপুকুর দক্ষিণ পাড়ায় অবস্থিত।ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাশে বট ও অশ্বত্থ গাছ ঘিরে জগন্নাথ, মগধেশ্বরী ও শীতলা মন্দির। সাথে রয়েছে একটি মহাশ্মশান। প্রায় ৩০ বছর আগে পাশাপাশি মন্দিরগুলো প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। মন্দিরকে কেন্দ্র করে প্রতিবছর তিনটি মহোৎসবের আয়োজন করা হয়।শনিবার রাতের আঁধারে দুর্বৃত্তরা মগেদ্বশ্বরী মন্দিরের গেইট ভাঙার চেষ্টা করে। না পেরে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে এবং বাঁশ দিয়ে ঘট উল্টে দেয়। পাশাপাশি শীতলা মন্দিরের ঘট ভেঙে দিয়ে দেবীর কাপড় ছিঁড়ে দেয়।
মগধেশ্বরীর সেবা খোলা শুধু একটি অশ্বত্থ গাছ তলার মন্দির নয়; দেবী মগধেশ্বরীর এ সেবা খোলার সাথে চট্টগ্রামের নাড়ির স্পন্দন রয়েছে। তাই চট্টগ্রামের কোন অধিবাসী যদি দেবী মগধেশ্বরীর সেবা খোলাকে আক্রান্ত করে; তখন বিষয়টি অত্যন্ত ভাবনার বটে। এ আক্রমণকে কিছু জেগে ঘুমানো মানুষ চুরি বলে চালানোর প্রচেষ্টা করছে। কিন্তু এটি কোন সাধারণ চুরি নয়, সাম্প্রদায়িক আক্রমণ। এর প্রথম কারণ, গাছ তলায় অবস্থিত দেবী মগধেশ্বরীর সেবা খোলায় চুরি করার মত সাধারণত খুব একটা কোন মূল্যবান দ্রব্যাদি থাকে না। এবং দ্বিতীয় কারণ, যদি ঘটনাটি সাধারণ চুরিই হত, তবে মন্দিরের ঘটসহ পূজার দ্রব্যাদি ভাঙচুর করা হত না। যে ইটের আঘাতে মন্দিরকে ক্ষত-বিক্ষত করা হয়েছে, সেই খণ্ডবিখণ্ড ইট ছড়িয়ে রয়েছে মন্দির পরিমণ্ডলে। আক্রমণকারীরা পার্শ্ববর্তী সমাধি মন্দিরও ভাঙচুর করেছে। তাই সুস্পষ্টভাবে বোঝা যায়, বিষয়টি সাধারণ চুরি নয়; সংঘবদ্ধ সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাস। এরপরেও যদি মৌলবাদী সন্ত্রাসীদের সুরে সুর মিলিয়ে প্রশাসন ঘটনাটিকে সাধারণ চুরি বলে চিহ্নিত করে; তবে এর থেকে দুঃখজনক আর কি হতে পারে!
সহকারী অধ্যাপক,সংস্কৃত বিভাগ,চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়।
সভাপতি, সনাতন বিদ্যার্থী সংসদ।
মন্তব্যগুলো দেখুনমন্তব্যগুলো লুকান🙁