ছোটকালে পহেলা বৈশাখের জন্য সারাবছর ধরে অপেক্ষা করতাম। কবে কবে পহেলা বৈশাখ আসবে, বৈশাখী মেলা হবে। মেলা থেকে মাটির বিভিন্ন খেলনা পুতুল কিনতাম। পহেলা বৈশাখে ঘরে বিভিন্ন প্রকারের মোয়া তৈরি করা হতো। বিশেষ করে খৈয়ের ছাতু থেকে তৈরি মোয়ার স্বাদ অতুলনীয়। এখনো স্মৃতিতে সজীব হয়ে আছে সেই ছাতুর মোয়ার স্বাদ। বাঙালির জীবনে বারো মাসে তেরো পার্বণ সারা বছরব্যাপী অনুষ্ঠিত হয়। এর মধ্যে একটি বৃহৎ সর্বজনীন পার্বণ হলো, চৈত্র সংক্রান্তি এবং পহেয়নববর্ষ। বাংলা পঞ্জিকার শেষ দিন এবং প্রথম দিন। আজ প্রায় হিন্দু বাঙালির ঘরে ঘরে পঞ্জিকা। কিন্তু একটি সময়ে পঞ্জিকা বর্তমান কালের মত এতটা সহজলভ্য ছিলো না। কারণ তখন হাতে লিখে লিখে পঞ্জিকাগুলোকে
প্রচার করতে হতো। তাই ইচ্ছা থাকলেও বেশি মানুষের কাছে পঞ্জিকা পৌঁছাতে পারতো না।
১৮১৮-১৯ খ্রিস্টাব্দে বা ১২২৫ বঙ্গাব্দে হাতে লেখা বাংলা পঞ্জিকার স্থলে আগমন ঘটে প্রেসে ছাপানো বাংলা পঞ্জিকা। আবহমান কাল থেকে হাতে লেখা পঞ্জিকার প্রচলন ছিলো সমগ্র বাংলায়। পশ্চিমবঙ্গের কলকাতা, নবদ্বীপ বা ভাটপাড়ার হাতে লেখা পঞ্জিকার খ্যাতি ছিলো সারা বাংলায়। তবে অন্যান্য বিষয়ের মত পঞ্জিকা ক্ষেত্রেও পূর্ববঙ্গও পিছিয়ে ছিলো না। পূর্ববঙ্গের বাকলা(বরিশাল), খানাকু্ল, গণপুরের পঞ্জিকার ব্যাপক নামডাক ছিলো। হাতে লেখা পঞ্জিকাগুলোকে সাধারণ মানুষের কাছে পাঁজিপুঁথি নামে পরিচিত ছিলো। তবে হাতে লেখা পঞ্জিকার স্থলে প্রেসে ছাপা পঞ্জিকাকে বাংলার মানুষ খুশি হয়ে প্রথমেই গ্রহণ করেনি। ছাপা পঞ্জিকার বিশুদ্ধতা নিয়ে তাদের একটি তীব্র সন্দেহ ছিলো। প্রথমদিকে তারা ছাপা পঞ্জিকাকে অশাস্ত্রীয় হিসেবে গণ্য করে। নিরুপায় হয়ে পরবর্তীতে পঞ্জিকার প্রকাশকরা পঞ্জিকা মধ্যে বঙ্গের জ্যোতিষ গণনায় অভিজ্ঞ বিখ্যাত পণ্ডিতদের নাম এবং স্বীকৃতিপত্র দেয়া শুরু করে। এর ফলশ্রুতিতে বাংলার পণ্ডিত সহ সাধারণ মানুষ প্রেসে ছাপানো পঞ্জিকা সানন্দে গ্রহণ করা শুরু করে।পরবর্তীতে, পঞ্জিকাকে আরও জনপ্রিয় করতে পঞ্জিকার সঙ্গে জুড়ে দেওয়া হয় ডাইরেক্টরি। নামকরণ করা হয় ডাইরেক্টরি পঞ্জিকা। বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের নাম, ঠিকানা, অফিসার, বিচারকদের নাম সহ বিবিধ প্রকারের প্রয়োজনীয় তথ্য উল্লেখ থাকত পঞ্জিকার মধ্যে। ডাইরেক্টরি পঞ্জিকার বিষয়ে বাংলায় পথিকৃৎ হলেন পি এম বাগচির ডাইরেক্টরি পঞ্জিকা। পরবর্তী অবশ্য বাংলায় বিভিন্ন প্রকাশনা থেকে ডাইরেক্টরি পঞ্জিকা প্রকাশিত হয়েছে। মানুষের পঞ্জিকার প্রতি ঝোঁক দেখে ১৮৪০-এর দশকে সর্বপ্রথম যৌথ উদ্যোগে এগিয়ে আসে কোলকাতা ট্রাফট সোসাইটি এবং চার্চ অফ ইংল্যান্ড কর্তৃপক্ষ। কিন্তু তাদের পঞ্জিকার বিক্রি খারাপ হওয়ায় কয়েক বছরের পরই ছাপা বন্ধ হয়ে যায়। তারপরই ১৮৫৭-৫৮ খ্রিস্টাব্দে উত্থান হয় ভার্নাকুলার লিটারেচার কমিটির। তারাই প্রথম সুমুদ্রিত এবং তথ্যসমৃদ্ধ পঞ্জিকার প্রকাশ করে। সময়ের সঙ্গে একদিন বাংলা পঞ্জিকা হিন্দু এবং মুসলিম দু'ভাগে বিভক্ত হয়ে যায়। একদিকে এম বাগচির ফুল পঞ্জিকা, পূর্ণচন্দ্র পঞ্জিকা, লোকনাথ পঞ্জিকা, শ্রীমদন গুপ্তের ফুল পঞ্জিকা, বেণীমাধব শীলের পঞ্জিকা, বিশুদ্ধ সিদ্ধান্ত পঞ্জিকা ইত্যাদি এবং অন্যদিকে মহম্মদী পঞ্জিকা। পরবর্তীতে নবদ্বীপের গৌড়ীয় বৈষ্ণব সম্প্রদায় তাদের জন্যে বৈষ্ণব পঞ্জিকা নামে একটি পঞ্জিকা প্রচলন করেন।
বাঙালি হিন্দু পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের সাথে বিভিন্ন আধ্যাত্মিক অনুষ্ঠানও করে। বিশ্বাস করা হয় যে, বছরেত প্রথম দিনটি আমরা যেভাবে কাটাবো, সারাবছর আমাদের অনেকটা সেভাবেই কাটবে। এ বিশ্বাস থেকে অনেকেই নিষ্ঠার সাথে থাকে। গণেশ পূজা সহ বিভিন্ন মাঙ্গলিক আচার অনুষ্ঠিত হওয়ার বাঙালি হিন্দুর কাছে দিনটি অত্যন্ত মাহাত্ম্যপূর্ণ। তাই সেই নববর্ষকে বাংলাদেশে রাষ্ট্রীয় আদেশে ১৪ এপ্রিল নির্দিষ্ট করে দেয়াটা অনুচিত। বিভিন্ন পূজাপার্বণাদি আধ্যাত্মিক অনুষ্ঠান থাকায় ১লা বৈশাখ নববর্ষকে ইংরেজি বর্ষপঞ্জির ১৪ এপ্রিলে নির্দিষ্ট করে দেয়ার সিদ্ধান্তটি বাঙালি হিন্দুর পক্ষে কখনই মানা সম্ভব না। কিছু বাঙালি আছে যাদের কাছে ১লা বৈশাখ শুধুমাত্র বছরের প্রথম দিন হিসেবে শুধুই আনন্দ উৎসবের একটি দিন। যাদের কাছে দিনটি শুধুই আনন্দ উৎসবের একটি দিন তাদের কাছে ১লা বৈশাখ ১৪ তারিখে উদযাপন করলেও যা, ১৫ তারিখে উদযাপন করলেও তাই। তাদের কোন সমস্যা নেই। কারণ তাদের দিনটিতে খাওয়াদাওয়া আনন্দ ফূর্তি ছাড়া আর কিছুই করণীয় নেই।
কিন্তু হিন্দু,বৌদ্ধ এবং আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষের বাংলা মাসের সাথে রয়েছে অচ্ছেদ্য নাড়ীর বন্ধন। তাদের কাছে বাংলা মাস শুধুমাত্র নামকেওয়াস্তে পঞ্জিকার অন্তর্ভুক্ত কয়েকটি মাস নয়। হিন্দু সম্প্রদায়ের অনেক পূজাপার্বণাদি বাংলামাসকে অনুসরণ করে অনুষ্ঠিত হয়। বছরের প্রথম দিন পহেলা বৈশাখ সিদ্ধিদাতা গণেশের পূজা অনুষ্ঠিত হয়। এদিনে ব্যবসায়ীরা গণেশ সহ বিভিন্ন দেবতাদি পূজার মাধ্যমে হালখাতার আয়োজন করে সবাইকে মিষ্টিমুখ করায়। বাংলা আষাঢ় মাসের ৭ আষাঢ় কামাক্ষ্যাদেবীর পূজা। শ্রাবণ মাসের শেষ দিন৩২শ্রাবণ মনসাদেবী ও অষ্টনাগ পূজা অনুষ্ঠিত হয়। তেমনি ভাদ্র মাসের শেষ দিন ৩১ভাদ্র বিশ্বকর্মা পূজা এবং কার্তিক মাসের শেষ দিন ৩০কার্তিক কার্তিক পূজা অনুষ্ঠিত হয়।
১ অগ্রহায়ণ ধান্যলক্ষ্মী পূজা অনুষ্ঠিত হয়। এ পূজায় নতুন ধানকে লক্ষ্মীর স্বরূপ হিসেবে, পূজা করে গৃহে তোলা হয়।২৯ পৌষ উত্তরায়ণ সংক্রান্তির দিনে অনুষ্ঠিত হয় বাস্তুপূজা। চৈত্রের শেষদিন অর্থাৎ চৈত্রসংক্রান্তির দিনে চড়ক পূজা এবং চৈত্রসংক্রান্তির পূর্বদিনে নীলপূজা বা শিবপূজা অনুষ্ঠিত হয়। এ প্রসঙ্গে এমন আরও দৃষ্টান্ত রয়েছে।
এভাবে বাংলা পঞ্জিকা অনুসরণ করে ১৪০০ বছর ধরে পূজাপার্বণাদিতে করে চলছে বাঙালি হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ। সেই মানুষেরা কি করে ১৯৮৭ সালে স্বৈরাচার এরশাদের একটা সরকারী আদেশে রাতারাতি পরিবর্তন করে ফেলবে তাদের বহুদিনের সংস্কৃতি এবং পরম্পরা? কেউ চাইলেও তো পরিবর্তন আদৌ সম্ভব নয়। কারণ আবহমান বাংলা পঞ্জিকার সাথে অচ্ছেদ্যভাবে অনেক কিছুই জড়িয়ে আছে। এর যে কোন একটি বিষয় স্থানচ্যুত হলে মূল কাঠামোই স্থানচ্যুত হওয়ার সম্ভাবনা উপস্থিত হয়। আশীরদশকে দেশে স্বৈরাচার এরশাদ বিরোধী বাতাস যখন তুঙ্গে। ঠিক সে সময়ে ১৯৮৭ সালে বাংলা পঞ্জিকা সংস্কার করেন।যা ছিলো সে সময়ে সম্পূর্ণভাবে অপ্রয়োজনীয়। এই সংস্কারের ফলশ্রুতিতে বাঙালির হিন্দু মুসলিম বিভাজন রেখাকে প্রকট হয়ে একটি মানসিক দ্বন্দ্বের উৎপত্তি হয়। বিষয়টি অত্যন্ত সুস্পষ্ট এবং দ্ব্যর্থহীন ভাষায় বলেছেন অধ্যাপক গোলাম মুরশিদ। তার মতে পাকিস্তান শাসনামলে পঞ্জিকা সংস্কারের প্রধান উদ্দেশ্যই ছিলো, পশ্চিমবঙ্গের বাঙালি এবং পূর্বপাকিস্তাননের বাঙালি যেন একই দিনে নববর্ষ পালন করে। তাদের মধ্যে সাংস্কৃতিক ঐক্যটি যেন বিনষ্ট হয়ে যায়। বাঙালি হিন্দু এবং মুসলমানদের মধ্যে সাম্প্রদায়িক চিন্তার সমান্তরাল মেরুকরণের পাকাপোক্ত ব্যবস্থা করে দেয়া। যেন বাঙালি হিন্দু মুসলিম নির্বিশেষে ঐক্যবদ্ধ না থাকে। পাকিস্তানি শাসকেরা নিশ্চিত করতে চেয়েছেন দু'বাংলার সকল বাঙালি যেন একসঙ্গে নববর্ষ উদ্যাপন করতে না পারে। তাদের ইচ্ছা পূর্ণতা পেয়েছে ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহর উদ্যোগে।গোলাম মুরশিদের ভাষায়:
"সত্যি বলতে কি, শহীদুল্লাহ বাংলা সনের যে সংস্কার করলেন, অথবা তাকে দিয়ে যে সংস্কার করিয়ে নেয়া হলো, মাসের হিসেবকে সহজ করলেও, তা আদৌ বৈজ্ঞানিক নয়।
বাংলা একাডেমী যে বঙ্গাব্দ তৈরি করেছে, তা আরো একটা বিষয়কে একেবারে অবজ্ঞা দেখিয়েছে। তা হলো; তিথি, নক্ষত্র ইত্যাদির হিসেব। গোড়াতে পূর্ণিমার চাঁদ বিশাখা নক্ষত্রে থাকলে, সে মাসকে বলা হতো বৈশাখ ; জ্যেষ্ঠা নক্ষত্রে থাকলে জ্যৈষ্ঠ ইত্যাদি। জ্যোতির্বিজ্ঞানের এই হিসেবকে বাংলা সন যারা ব্যবহার করেন, তাদের সবার দরকার নেই, ঠিকই। কিন্তু বাংলা ভাষীদের প্রায় অর্ধেক হিন্দুরা এসব হিসেব মেনে চলতে চান। তার কারণ এরই ওপর নির্ভর করে তাদের পূজা-পার্বণ। সুতরাং সংস্কারের মাধ্যমে একটা সর্বজনীন সন চালু করতে চাইলে, হিন্দু এবং মুসলমান এই উভয় সম্প্রদায়ের প্রয়োজন এবং গ্রহণযোগ্যতার কথা মনে রাখতে হবে। প্রশ্ন হচ্ছে ; যথেষ্ট বৈজ্ঞানিক না হওয়া সত্ত্বেও বাংলা একাডেমী এই সংস্কার করলো কেন?
ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহসহ আলোচ্য পণ্ডিতদের অভিপ্রায় আমাদের জানা নেই। তবে আমার বিশ্বাস, দেশ বিভাগের পর থেকে রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষণায় আরবি হরফ প্রবর্তন, রাষ্ট্র ভাষা উর্দু করা, তমদ্দুন কায়েম করা ইত্যাদির যেসব উদ্যোগ নেয়া হয়েছিলো, বাংলা একাডেমীকে দিয়ে বাংলা সনের সংস্কার করানোর উদ্যোগ ছিলো সেসবেরই একটা অংশ। এর সোজা উদ্দেশ্য ছিলো, পশ্চিমবঙ্গের সঙ্গে আর হিন্দু এবং মুসলমানদের মধ্যে এ সন নিয়েও যেন কোনো মিল না থাকে, তার পাকাপোক্ত ব্যবস্থা করা। পাক-প্রভুরা নিশ্চিত করতে চেয়েছিলেন, নববর্ষের উৎসবও যাতে দু'বাংলার মানুষরা এক সঙ্গে উদ্যাপন করতে না পারেন।
বাংলা একাডেমীর এই সংস্কৃত সন বস্তুত অগ্রহণযোগ্য। বৈজ্ঞানিক কারণে এবং তার চেয়েও বড়ো কথা, সাংস্কৃতিক কারণে। বাংলা সন হিন্দু এবং মুসলমানের সমন্বয় সাধনার চার শ' বছরের ঐতিহ্য বহন করে। এই সন মুসলমানরা যেমন তাদের প্রাত্যহিক জীবনে ক্রিয়াকর্মে এবং উৎসবে ব্যবহার করেছেন, হিন্দুরাও তেমনি ব্যবহার করেছেন তাদের ক্রিয়াকর্মে, এমন কি, পূজাপার্বণে। সে জন্যই বাংলা সনের যদি কোনো সংস্কার করতে হয়, তা করবেন দু’বাংলার হিন্দু এবং মুসলমানরা মিলিত হয়ে। এই সংস্কার করার অধিকার কোনো এক সম্প্রদায়ের নেই। কোনো এক সম্প্রদায় করলে, অন্য সম্প্রদায় তা মানবেন না।"
(গোলাম মুরশিদ ২০০৮: ৫১)
এরশাদ সরকার পঞ্জিকা সংস্কার করে বাংলা নববর্ষের দিনটিকে ইংরেজি ১৪ এপ্রিলে নির্দিষ্ট করে দেন। এভাবে রাষ্ট্রীয়ভাবে বাংলা নববর্ষ পালিত হওয়া শুরু করে ইংরেজি নির্দিষ্ট একটি ইংরেজি দিন ১৪ এপ্রিলকে অনুসরণ করে। এ বিভেদের ধারাবাহিকতায় এর পরের বছরে ১৯৮৮ সালে হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ রাষ্ট্রধর্ম প্রবর্তন সহ আরও কয়েকটি মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিরোধী পদক্ষেপ গ্রহণ করেন। সেই ধারাবাহিকতা বাংলাদেশের বাঙালি সংখ্যাগরিষ্ঠ এবং সংখ্যালঘিষ্ঠ বিভাজনের পথে চলতে চলতে একবিংশ শতাব্দীতে এসে আজ তেঁতুলতলায় থেমেছে। এর পরের গন্তব্য অবশ্য অনিশ্চিত। হয় একবুক রক্তিম আভা নিয়ে নতুন সূর্যোদয় হবে; নচেৎ সূর্যাস্তের অন্ধকারে পথ এবং গন্তব্য হারিয়ে যাবে।
সহায়ক গ্রন্থপঞ্জি:
১.গোলাম মুরশিদ,'কার সন, কার সংস্কার',বাংলাদেশের উৎসব: নববর্ষ, ঢাকা:বাংলা একাডেমী, প্রথম প্রকাশ, ২০০৮
সহকারী অধ্যাপক,সংস্কৃত বিভাগ,চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়।
সভাপতি, সনাতন বিদ্যার্থী সংসদ।