ধর্ম নির্ণয়ে বেদই একমাত্র প্রমাণ; পুরাণ এবং স্মৃতি সহায়ক মাত্র

বর্তমানে সনাতন ধর্মাবলম্বী কিছু ব্যক্তি প্রধান ধর্মগ্রন্থ বেদকে পাশ কাটিয়ে শুধু পৌরাণিক গ্রন্থ অথবা বিভিন্ন বাবাগুরুদের লেখা ছড়ার বই, গ...

ডাক্তার নয়, সাক্ষাৎ ধন্বন্তরি।

ডাক্তার নয়,   সাক্ষাৎ ধন্বন্তরি। ২৫. ০৩.২০২০, বুধবার উত্তর প্রদেশের বারাণসীতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেন, "হাসপাতাল-ক্লিনিকে সাদা পোশাক পরে যারা রয়েছেন তারাই বর্তমানে আমাদের কাছে ভগবানস্বরূপ । তাদের সম্মান করতে হবে। কারণ তারা নিজেদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে আমাদের প্রাণ বাঁচাচ্ছেন।" করোনাকালের অগ্রসৈনিক চিকিৎসকদের প্রসঙ্গে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর অত্যন্ত সম্মানসূচক এ মন্তব্য অধিকাংশ মানুষই সমর্থন করেছেন। অনেকেই হয়তো অত্যুক্তি বলে পাশ কাটিয়ে গিয়েছেন। করোনা মহামারীর এ যুদ্ধে আমরা সকলেই ঘরের মধ্যে উদ্বিগ্ন অলস সময় কাটাচ্ছি। কিন্তু আমাদের জন্যে ঘরের বাইরে বিশ্বব্যাপী অতন্দ্রপ্রহরী হয়ে যারা আছেন তারা হলেন: ১. চিকিৎসক, নার্স সহ স্বাস্থ্যসেবার কর্মীরা। ২. পরিচ্ছন্নতার সাথে যুক্ত সকল কর্মীরা । ৩. প্রশাসন সহ আইনশৃঙ্খলার সাথে যুক্ত ব্যক্তিবর্গ।  করোনাকালে অতন্দ্রপ্রহরীদের কথা বিশেষ করে স্বাস্থ্যসেবা কর্মীদের কথা আমরা কয়জনে ভাবি? সংসারে জীব যখন বিপদে পরে তখন ভগবানই বিভিন্ন অবতাররূপে এসে তাদের রক্ষা করে প্রয়োজনীয় শিক্ষা দেন। পুরাণ অনুসারে ভগবান বিষ্ণুর চব্বিশ অবতারের মধ্যে একজন অবতার হলেন বৈদ্য বা ডাক্তার। তাঁর নাম ধন্বন্তরি। শাস্ত্রে ধন্বন্তরিকে চিকিৎসা ও আয়ুর্বেদের অধিপতি দেবতা হিসাবে বর্ণনা করা হয়েছে। ধন্বন্তরির হাতে শঙ্খ ও শ্রীচক্র ছাড়াও আছে সকল ব্যাধি থেকে মুক্তি পেতে অমৃতের কলশ।কার্তিক মাসের ধন্বন্তরি ত্রয়োদশীর পবিত্র তিথিতে আবির্ভূত হন চিকিৎসকরূপে ভগবানের অবতার ধন্বন্তরি।তিথিটি চিকিৎসক ও সমগ্র মানবজাতির পক্ষে এক পুণ্যতিথি। পুরাণ মতে এই তিথিতেই ধন্বন্তরি দেবতা-অসুরের সমুদ্রমন্থনে আবির্ভূত হন । দীর্ঘ ও ঘটনাবহুল সমুদ্রমন্থন শেষে কলসপূর্ণ কাঙ্খিত অমৃত আনয়ন করে তিনি অমৃতাচার্য হিসেবে অভিহিত হন। পরে তিনি কাশীরাজ দীর্ঘতমার পুত্র রূপে জন্মগ্রহণ করেন ও সুশ্রুতকে আয়ুর্বেদ শিক্ষাদান করেন। সেই থেকে আয়ুর্বেদ নামক চিকিৎসাবিদ্যার উৎপত্তি হয়। পরবর্তীতে কয়েকজন ঋষি ধন্বন্তরি উপাধিতে ভূষিত হয়েছিলেন।  এখনও কোন চিকিৎসকের যদি চিকিৎসায় ভাল হাতযশ হয়, তার চিকিৎসায় যদি মানুষ দ্রুত আরোগ্য লাভ করে তবে সেই ডাক্তারকে আমরা বলি, "তিনি ডাক্তার নয়, সাক্ষাৎ ধন্বন্তরি।"  কথাটির মধ্যে অত্যুক্তি থাকলেও, এটা ক্ষতিকর নয়; এরমধ্যে প্রেরণা আছে। প্রেরণা মানুষকে উজ্জীবিত করে, উৎসাহিত করে এবং সর্বোপরি কর্মচাঞ্চল্যময় করে। তাই বর্তমান করোনাকালে জীবনমৃত্যুর সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে সাদা পোশাক পরা মানুষ গুলোকে আরও একটু সম্মান করি, যাতে তারা আরও সম্মানিত বোধ করেন। একথা সত্য যে সকল চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্যকর্মি তাদের উপরে অর্পিত দায়িত্ব যথাযথ পালন করেন না। কিন্তু এ এদের সংখ্যা খুব একটা বেশি নয়। অধিকাংশ চিকিৎসকই চেষ্টা করে যথাসাধ্য সেবা করতে।দেশের চিকিৎসকরা যদি চিকিৎসা সেবা প্রদান না করেন, সকল স্বাস্থ্যকর্মী যদি ঘরে বসে থাকেন, প্রশাসন সহ আইনশৃঙ্খলার সাথে যুক্ত ব্যক্তিবর্গ যদি নিস্ক্রিয় হয়ে থাকেন, তবে একবার ভেবে দেখেছেন কি অবস্থা হবে দেশের? এরা নিস্ক্রিয় থাকলে কি করোনা যুদ্ধ কখনও মোকাবিলা করা সম্ভব। না কখনই সম্ভব নয়। রোগী ও তার পরিবারের সঙ্গে কঠিন যুদ্ধ করে যাচ্ছেন, আপনার আমার পরিবারের কল্যাণের জন্যে এই সাদা পোশাকের সেবাব্রতীরা।  শ্রীকুশল বরণ চক্রবর্ত্তী সহকারী অধ্যাপক,সংস্কৃত বিভাগ,চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়। সভাপতি, সনাতন বিদ্যার্থী সংসদ।
২৫. ০৩.২০২০, বুধবার উত্তর প্রদেশের বারাণসীতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেন, "হাসপাতাল-ক্লিনিকে সাদা পোশাক পরে যারা রয়েছেন তারাই বর্তমানে আমাদের কাছে ভগবানস্বরূপ । তাদের সম্মান করতে হবে। কারণ তারা নিজেদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে আমাদের প্রাণ বাঁচাচ্ছেন।"
করোনাকালের অগ্রসৈনিক চিকিৎসকদের প্রসঙ্গে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর অত্যন্ত সম্মানসূচক এ মন্তব্য অধিকাংশ মানুষই সমর্থন করেছেন। অনেকেই হয়তো অত্যুক্তি বলে পাশ কাটিয়ে গিয়েছেন। করোনা মহামারীর এ যুদ্ধে আমরা সকলেই ঘরের মধ্যে উদ্বিগ্ন অলস সময় কাটাচ্ছি। কিন্তু আমাদের জন্যে ঘরের বাইরে বিশ্বব্যাপী অতন্দ্রপ্রহরী হয়ে যারা আছেন তারা হলেন:
১. চিকিৎসক, নার্স সহ স্বাস্থ্যসেবার কর্মীরা।
২. পরিচ্ছন্নতার সাথে যুক্ত সকল কর্মীরা ।
৩. প্রশাসন সহ আইনশৃঙ্খলার সাথে যুক্ত ব্যক্তিবর্গ।
করোনাকালে অতন্দ্রপ্রহরীদের কথা বিশেষ করে স্বাস্থ্যসেবা কর্মীদের কথা আমরা কয়জনে ভাবি? সংসারে জীব যখন বিপদে পরে তখন ভগবানই বিভিন্ন অবতাররূপে এসে তাদের রক্ষা করে প্রয়োজনীয় শিক্ষা দেন। পুরাণ অনুসারে ভগবান বিষ্ণুর চব্বিশ অবতারের মধ্যে একজন অবতার হলেন বৈদ্য বা ডাক্তার। তাঁর নাম ধন্বন্তরি। শাস্ত্রে ধন্বন্তরিকে চিকিৎসা ও আয়ুর্বেদের অধিপতি দেবতা হিসাবে বর্ণনা করা হয়েছে। ধন্বন্তরির হাতে শঙ্খ ও শ্রীচক্র ছাড়াও আছে সকল ব্যাধি থেকে মুক্তি পেতে অমৃতের কলশ।কার্তিক মাসের ধন্বন্তরি ত্রয়োদশীর পবিত্র তিথিতে আবির্ভূত হন চিকিৎসকরূপে ভগবানের অবতার ধন্বন্তরি।তিথিটি চিকিৎসক ও সমগ্র মানবজাতির পক্ষে এক পুণ্যতিথি। পুরাণ মতে এই তিথিতেই ধন্বন্তরি দেবতা-অসুরের সমুদ্রমন্থনে আবির্ভূত হন । দীর্ঘ ও ঘটনাবহুল সমুদ্রমন্থন শেষে কলসপূর্ণ কাঙ্খিত অমৃত আনয়ন করে তিনি অমৃতাচার্য হিসেবে অভিহিত হন। পরে তিনি কাশীরাজ দীর্ঘতমার পুত্র রূপে জন্মগ্রহণ করেন ও সুশ্রুতকে আয়ুর্বেদ শিক্ষাদান করেন। সেই থেকে আয়ুর্বেদ নামক চিকিৎসাবিদ্যার উৎপত্তি হয়। পরবর্তীতে কয়েকজন ঋষি ধন্বন্তরি উপাধিতে ভূষিত হয়েছিলেন।
এখনও কোন চিকিৎসকের যদি চিকিৎসায় ভাল হাতযশ হয়, তার চিকিৎসায় যদি মানুষ দ্রুত আরোগ্য লাভ করে তবে সেই ডাক্তারকে আমরা বলি, "তিনি ডাক্তার নয়, সাক্ষাৎ ধন্বন্তরি।"
কথাটির মধ্যে অত্যুক্তি থাকলেও, এটা ক্ষতিকর নয়; এরমধ্যে প্রেরণা আছে। প্রেরণা মানুষকে উজ্জীবিত করে, উৎসাহিত করে এবং সর্বোপরি কর্মচাঞ্চল্যময় করে। তাই বর্তমান করোনাকালে জীবনমৃত্যুর সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে সাদা পোশাক পরা মানুষ গুলোকে আরও একটু সম্মান করি, যাতে তারা আরও সম্মানিত বোধ করেন। একথা সত্য যে সকল চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্যকর্মি তাদের উপরে অর্পিত দায়িত্ব যথাযথ পালন করেন না। কিন্তু এ এদের সংখ্যা খুব একটা বেশি নয়। অধিকাংশ চিকিৎসকই চেষ্টা করে যথাসাধ্য সেবা করতে।দেশের চিকিৎসকরা যদি চিকিৎসা সেবা প্রদান না করেন, সকল স্বাস্থ্যকর্মী যদি ঘরে বসে থাকেন, প্রশাসন সহ আইনশৃঙ্খলার সাথে যুক্ত ব্যক্তিবর্গ যদি নিস্ক্রিয় হয়ে থাকেন, তবে একবার ভেবে দেখেছেন কি অবস্থা হবে দেশের? এরা নিস্ক্রিয় থাকলে কি করোনা যুদ্ধ কখনও মোকাবিলা করা সম্ভব। না কখনই সম্ভব নয়। রোগী ও তার পরিবারের সঙ্গে কঠিন যুদ্ধ করে যাচ্ছেন, আপনার আমার পরিবারের কল্যাণের জন্যে এই সাদা পোশাকের সেবাব্রতীরা।
সহকারী অধ্যাপক,সংস্কৃত বিভাগ,চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়।
সভাপতি, সনাতন বিদ্যার্থী সংসদ।
মন্তব্যগুলো দেখুনমন্তব্যগুলো লুকান🙁