ধর্ম নির্ণয়ে বেদই একমাত্র প্রমাণ; পুরাণ এবং স্মৃতি সহায়ক মাত্র

বর্তমানে সনাতন ধর্মাবলম্বী কিছু ব্যক্তি প্রধান ধর্মগ্রন্থ বেদকে পাশ কাটিয়ে শুধু পৌরাণিক গ্রন্থ অথবা বিভিন্ন বাবাগুরুদের লেখা ছড়ার বই, গ...

কখনো শত্রুর, শেষ রাখতে নেই।

 

মনে রাখতে হবে এ জগতের অধিকাংশ মানুষ শুধু পাপ এবং শুধু পুণ্যে সুস্থির থাকতে পারে না। মানুষ  পাপপুণ্যে মাঝে সর্বদা দোলায়িত হয়।কখনো পাপের দিকে হেলে পড়ে পাপিষ্ঠ হয়, কখনো  পুণ্যের দিকে হেলে পড়ে সাধু হয়। তাই ত্রিগুণে এ মানব জীবনে শত্রুমিত্র থাকবেই। মানুষের জীবনে শত্রু থাকবেই। কেউ না চাইলেও অহেতুক শত্রুতা চলে আসে। অনেক সময়ে সে অনাকাঙ্ক্ষিত শত্রুতা গায়ের উপরে চলে আসে।তাই সচেতন থাকা প্রয়োজন শত্রু থেকে। শত্রুকে কখনো বাড়তে দিতে নেই। প্রাথমিক অবস্থাতেই শত্রুকে সমূলে বিনাশ করতে হয়। তা না হলে শত্রুই সুযোগে সুন্দর সাজানো জীবনকে ধরাশায়ী করে। ধর্মেও বিষয়টি অত্যন্ত সুস্পষ্টভাবে বলা হয়েছে: ঋণশেষঞ্চাগ্বিশেষং শত্রুশেষং তথৈব চ।  পুনঃ পুনঃ প্রবর্দ্ধন্তে তস্মাচ্ছেষং ন কারয়েৎ ॥ (গরুড়পুরাণ: পূর্বখণ্ড, ১১৫.৪৬) "ঋণ, অগ্নি এবং শত্রুর কখনো শেষ রাখতে নেই। এই তিন প্রকার বিষয়ের যদি কিছুটা অবশেষ থাকে, তবে তা ক্রমশ বর্ধিত হয়ে পুনরায় পূর্বের মত অনিষ্টসাধন করত পারে।" পূর্বে উক্ত গরুড় পুরাণের এ শ্লোকটিই কিছুটা পরিবর্তিত আকারে চাণক্য শ্লোক সংগ্রহের মধ্যে পাওয়া যায়। গরুড়পুরাণে ঋণ, অগ্নি এবং শত্রুর স্থানে চাণক্য শ্লোকে ঋণ, অগ্নি এবং ব্যাধির কথা বলা হয়েছে। ঋণ যেমন শত্রুর মত মানুষকে তিলেতিলে সর্বস্বান্ত করে, তেমনি ব্যাধিও শত্রুর মত একবার দেহে বাসা বাঁধলে মানুষের জীবনকে দুর্বিষহ করে তোলে। অগ্নির যেমন অত্যন্ত প্রয়োজনীয়তা আছে। অগ্নিতে যেমন মানুষ রান্না করে খাদ্য প্রস্তুত করে, সেই খাদ্য খেয়ে বেঁচে থাকে। তেমনি একবার যদি অগ্নির করালগ্রাস কোন গৃহকে পেয়ে বসে, তবে গৃহ ভস্মীভূত হয়ে ছাই হয়ে যায়। শুধুই হাহাকার ছাড়া কিছুই অবশিষ্ট থাকে না গৃহের। তাই শত্রু তো আছেই, ঋণ, অগ্নি এবং ব্যাধিও মানুষের জীবনে ভয়ংকর শত্রুতে রূপান্তরিত হতে পারে। ঋণশেষেহগ্নিশেষশ্চ ব্যাধিশেষস্তথৈব চ।  পুনশ্চ বর্ধতে যস্মাৎ তস্মাচ্ছেষং ন কারয়েৎ ॥ (চাণক্য শ্লোক: ৪৫) "ঋণ, অগ্নি এবং ব্যাধির অবশিষ্ট অংশ রেখে দেওয়া উচিত নয়। কারণ এগুলো পুনরায় বৃদ্ধি পায়।" শত্রু সে যত ক্ষুদ্রতমই হোক না কেন, তাকে কখনো শত্রুকে অবহেলা করতে নেই। শত্রুকে অবহেলা করলে বিপদ দ্রুতই চলে আসে। বিষাক্ত সাপের বাচ্চা সে যত ক্ষুদ্রতম হোক না কেন, তা কামড়ে মানুষে মৃত্যু ঘটতে পারে। কিন্তু কেউ যদি মনে করে যে ছোট সাপের বাচ্চার দ্বারা ক্ষতির কিছুই নেই। তবে সে করুণার পাত্র, সেই নির্বোধ ব্যক্তি বোকার স্বর্গে বাস করে। যে শত্রু দশহাজার কৌশল জানে তাকে নিয়ে ভয়ের কিছুই নেই। তার লক্ষ্য বহুদিকে বিক্ষিপ্ত। কিন্তু যে শত্রু একটি কৌশল দশহাজার বার অনুশীলন করেছে, জগতে সেই শত্রুর মত ভয়ংকর আর কিছুই নেই।  কুশল বরণ চক্রবর্ত্তী  সহকারী অধ্যাপক,  সংস্কৃত বিভাগ,  চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়

মনে রাখতে হবে এ জগতের অধিকাংশ মানুষ শুধু পাপ এবং শুধু পুণ্যে সুস্থির থাকতে পারে না। মানুষ
পাপপুণ্যে মাঝে সর্বদা দোলায়িত হয়।কখনো পাপের দিকে হেলে পড়ে পাপিষ্ঠ হয়, কখনো পুণ্যের দিকে হেলে পড়ে সাধু হয়। তাই ত্রিগুণে এ মানব জীবনে শত্রুমিত্র থাকবেই। মানুষের জীবনে শত্রু থাকবেই। কেউ না চাইলেও অহেতুক শত্রুতা চলে আসে। অনেক সময়ে সে অনাকাঙ্ক্ষিত শত্রুতা গায়ের উপরে চলে আসে।তাই সচেতন থাকা প্রয়োজন শত্রু থেকে। শত্রুকে কখনো বাড়তে দিতে নেই। প্রাথমিক অবস্থাতেই শত্রুকে সমূলে বিনাশ করতে হয়। তা না হলে শত্রুই সুযোগে সুন্দর সাজানো জীবনকে ধরাশায়ী করে। ধর্মেও বিষয়টি অত্যন্ত সুস্পষ্টভাবে বলা হয়েছে:
ঋণশেষঞ্চাগ্বিশেষং শত্রুশেষং তথৈব চ।
পুনঃ পুনঃ প্রবর্দ্ধন্তে তস্মাচ্ছেষং ন কারয়েৎ ॥
(গরুড়পুরাণ: পূর্বখণ্ড, ১১৫.৪৬)
"ঋণ, অগ্নি এবং শত্রুর কখনো শেষ রাখতে নেই। এই তিন প্রকার বিষয়ের যদি কিছুটা অবশেষ থাকে, তবে তা ক্রমশ বর্ধিত হয়ে পুনরায় পূর্বের মত অনিষ্টসাধন করত পারে।"
পূর্বে উক্ত গরুড় পুরাণের এ শ্লোকটিই কিছুটা পরিবর্তিত আকারে চাণক্য শ্লোক সংগ্রহের মধ্যে পাওয়া যায়। গরুড়পুরাণে ঋণ, অগ্নি এবং শত্রুর স্থানে চাণক্য শ্লোকে ঋণ, অগ্নি এবং ব্যাধির কথা বলা হয়েছে। ঋণ যেমন শত্রুর মত মানুষকে তিলেতিলে সর্বস্বান্ত করে, তেমনি ব্যাধিও শত্রুর মত একবার দেহে বাসা বাঁধলে মানুষের জীবনকে দুর্বিষহ করে তোলে। অগ্নির যেমন অত্যন্ত প্রয়োজনীয়তা আছে। অগ্নিতে যেমন মানুষ রান্না করে খাদ্য প্রস্তুত করে, সেই খাদ্য খেয়ে বেঁচে থাকে। তেমনি একবার যদি অগ্নির করালগ্রাস কোন গৃহকে পেয়ে বসে, তবে গৃহ ভস্মীভূত হয়ে ছাই হয়ে যায়। শুধুই হাহাকার ছাড়া কিছুই অবশিষ্ট থাকে না গৃহের। তাই শত্রু তো আছেই, ঋণ, অগ্নি এবং ব্যাধিও মানুষের জীবনে ভয়ংকর শত্রুতে রূপান্তরিত হতে পারে।
ঋণশেষেহগ্নিশেষশ্চ ব্যাধিশেষস্তথৈব চ।
পুনশ্চ বর্ধতে যস্মাৎ তস্মাচ্ছেষং ন কারয়েৎ ॥
(চাণক্য শ্লোক: ৪৫)
"ঋণ, অগ্নি এবং ব্যাধির অবশিষ্ট অংশ রেখে দেওয়া উচিত নয়। কারণ এগুলো পুনরায় বৃদ্ধি পায়।"
শত্রু সে যত ক্ষুদ্রতমই হোক না কেন, তাকে কখনো শত্রুকে অবহেলা করতে নেই। শত্রুকে অবহেলা করলে বিপদ দ্রুতই চলে আসে। বিষাক্ত সাপের বাচ্চা সে যত ক্ষুদ্রতম হোক না কেন, তা কামড়ে মানুষে মৃত্যু ঘটতে পারে। কিন্তু কেউ যদি মনে করে যে ছোট সাপের বাচ্চার দ্বারা ক্ষতির কিছুই নেই। তবে সে করুণার পাত্র, সেই নির্বোধ ব্যক্তি বোকার স্বর্গে বাস করে। যে শত্রু দশহাজার কৌশল জানে তাকে নিয়ে ভয়ের কিছুই নেই। তার লক্ষ্য বহুদিকে বিক্ষিপ্ত। কিন্তু যে শত্রু একটি কৌশল দশহাজার বার অনুশীলন করেছে, জগতে সেই শত্রুর মত ভয়ংকর আর কিছুই নেই।
সহকারী অধ্যাপক,সংস্কৃত বিভাগ,চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়।
সভাপতি, সনাতন বিদ্যার্থী সংসদ।
মন্তব্যগুলো দেখুনমন্তব্যগুলো লুকান🙁