ধর্ম নির্ণয়ে বেদই একমাত্র প্রমাণ; পুরাণ এবং স্মৃতি সহায়ক মাত্র

বর্তমানে সনাতন ধর্মাবলম্বী কিছু ব্যক্তি প্রধান ধর্মগ্রন্থ বেদকে পাশ কাটিয়ে শুধু পৌরাণিক গ্রন্থ অথবা বিভিন্ন বাবাগুরুদের লেখা ছড়ার বই, গ...

অমর শিল্পী, কিশোর কুমার।


অমর শিল্পী,  কিশোর কুমার কিশোর কুমার ১৯২৯ সালের ৪ আগস্ট  মধ্যপ্রদেশের খাণ্ডবাতে  এক সম্ভ্রান্ত বাঙালি  পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা কুঞ্জলাল গঙ্গোপাধ্যায় ছিলেন, পেশায় একজন আইনজীবী। তার মায়ের নাম ছিল গৌরী দেবী।কিশোর কুমারের প্রকৃত নাম ছিল, আভাষ কুমার গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি ছিলেন একাধারে অভিনেতা সহ চলচ্চিত্র পরিচালক, স্ক্রিপ্ট লেখক, চিত্রনাট্য লেখক এবং রেকর্ড প্রযোজক। তিনি ভারতীয় চলচ্চিত্র শিল্পের সর্বাধিক সফল এবং সর্বশ্রেষ্ঠ প্লেব্যাক গায়ক হিসেবে সবার হৃদয়ে চিরকাল অমর হয়ে আছেন। কিশোর কুমারের কয়েকটি গান যেন বাঙালির নস্টালজিয়ায় পরিণত। এর মধ্যে অন্যতম: "আজ এই দিনটাকে মনের খাতায় লিখে রাখো আমায় পড়বে মনে কাছে দূরে যেখানেই থাকো হাওয়ার গল্প আর পাখীদের গান শুনে শুনে আজ এই ফাল্গুনে দুটি চোখে স্বপ্ন শুধু আঁকো" গত চার পাঁচ দশকে এমন বোধহয় খুব কমই বাঙালি আছে যিনি এই গানটি শোনেননি। যিনি এই গানটি গেয়ে অমর হয়ে আছেন, তিনি চির পরিচিত শিল্পী কিশোর কুমার। বাংলা সংগীত বিশেষ করে চলচ্চিত্রের সংগীতকে তিনি তার প্রতিভাবলে এক অনন্য মাত্রায় নিয়ে গেছেন। আজও বাঙালি হাসে, বাঙালি কাঁদে প্রেমিক প্রেমিকার প্রতি প্রেম অনুভব করে, প্রেমিক প্রেমিকার প্রতি বিরহ অনুভব করে কিশোর কুমারের গানে। তার কন্ঠে যেমন যাদু ছিল, তেমনি ছিল তার সুরে। 'লুকোচুরি' ছবির সিং নেই, "তবু নাম তার সিংহ" আজ এতবছর পেরিয়েও চির সবুজ। মনে পড়ে পড়োশন (১৯৬৮) ছবিতে সেই মুখোমুখি দুটি জানালা দয়ে নায়ক নায়িকা দুজনের পক্ষে থেকে একপক্ষে তামিল সংগীত শিক্ষকের ভূমিকায় মেহমুদ এবং অন্যপক্ষে কিশোর কুমার। সেই মুখোমুখি জানালা দিয়ে নায়িকার উদ্দেশ্যে নায়কের পক্ষে গাওয়া বিখ্যাত গান - "এ চতুর নার বড় হোশিয়ার" আজও বাঙালির স্মৃতিতে রঙিন।  কিশোর কুমার ভারতীয় প্রায় সকল ভাষাতেই গান করেছিলেন, যার মধ্যে রয়েছে বাংলা, হিন্দি, মারাঠি, অসমীয়া, গুজরাটি, কন্নড়, ভোজপুরি, মালায়লম, ওড়িয়া, এবং উর্দু অন্যতম।  এছাড়াও তিনি ব্যক্তিগত অ্যালবামেও বিভিন্ন ভাষায় গান করেছেন, বিশেষত তার বাংলায় গাওয়া গানগুলি আজও  সর্বকালের ধ্রুপদী গান হিসেবে বিবেচিত হয়েছে। তিনি ৮ বার শ্রেষ্ঠ পুরুষ নেপথ্য গায়কের জন্য ফিল্মফেয়ার পুরস্কার পেয়েছেন এবং একই বিভাগে সর্বাধিক ফিল্মফেয়ার পুরস্কার বিজয়ের রেকর্ড করেছেন। তাকে মধ্যপ্রদেশ সরকার কর্তৃক লতা মঙ্গেশকর পুরস্কার প্রদান করা হয় এবং তার নামে হিন্দি চলচ্চিত্রে অনন্য  অবদানের জন্য কিশোর কুমার পদক চালু করা হয়।সাধারণত গায়ক হিসাবে তাকে দেখা হলেও তিনি হিন্দি চলচ্চিত্র জগতের একজন গুরুত্বপূর্ণ অভিনেতাও ছিলেন। তার অভিনীত বিখ্যাত কয়েকটি কমেডি চলচ্চিত্রের মধ্যে রয়েছে বাপ রে বাপ (১৯৫৫), চলতি কা নাম গাড়ি (১৯৫৮), হাফ টিকিট (১৯৬২), পড়োশন (১৯৬৮), হাঙ্গামা (১৯৭১), পেয়ার দিবানা (১৯৭৩), বাড়তি কা নাম দাড়ি (১৯৭৪)। এছাড়া অন্যান্য বিখ্যাত  সিনেমার ভিতর রয়েছে নোকরি, বন্দী, দূর গগন কি ছাঁও মে, দূর কা রাহি প্রভৃতি। ১৯৮৭ সালের ১৩ অক্টোবর তিনি পরলোকগমন করেন।  কুশল বরণ চক্রবর্ত্তী সহকারী অধ্যাপক,  সংস্কৃত বিভাগ,  চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়
কিশোর কুমার ১৯২৯ সালের ৪ আগস্ট মধ্যপ্রদেশের খাণ্ডবাতে এক সম্ভ্রান্ত বাঙালি পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা কুঞ্জলাল গঙ্গোপাধ্যায় ছিলেন, পেশায় একজন আইনজীবী। তার মায়ের নাম ছিল গৌরী দেবী।কিশোর কুমারের প্রকৃত নাম ছিল, আভাষ কুমার গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি ছিলেন একাধারে অভিনেতা সহ চলচ্চিত্র পরিচালক, স্ক্রিপ্ট লেখক, চিত্রনাট্য লেখক এবং রেকর্ড প্রযোজক। তিনি ভারতীয় চলচ্চিত্র শিল্পের সর্বাধিক সফল এবং সর্বশ্রেষ্ঠ প্লেব্যাক গায়ক হিসেবে সবার হৃদয়ে চিরকাল অমর হয়ে আছেন। কিশোর কুমারের কয়েকটি গান যেন বাঙালির নস্টালজিয়ায় পরিণত। এর মধ্যে অন্যতম:
"আজ এই দিনটাকে
মনের খাতায় লিখে রাখো
আমায় পড়বে মনে
কাছে দূরে যেখানেই থাকো
হাওয়ার গল্প আর
পাখীদের গান শুনে শুনে
আজ এই ফাল্গুনে
দুটি চোখে স্বপ্ন শুধু আঁকো"
গত চার পাঁচ দশকে এমন বোধহয় খুব কমই বাঙালি আছে যিনি এই গানটি শোনেননি। যিনি এই গানটি গেয়ে অমর হয়ে আছেন, তিনি চির পরিচিত শিল্পী কিশোর কুমার। বাংলা সংগীত বিশেষ করে চলচ্চিত্রের সংগীতকে তিনি তার প্রতিভাবলে এক অনন্য মাত্রায় নিয়ে গেছেন। আজও বাঙালি হাসে, বাঙালি কাঁদে প্রেমিক প্রেমিকার প্রতি প্রেম অনুভব করে, প্রেমিক প্রেমিকার প্রতি বিরহ অনুভব করে কিশোর কুমারের গানে। তার কন্ঠে যেমন যাদু ছিল, তেমনি ছিল তার সুরে। 'লুকোচুরি' ছবির সিং নেই, "তবু নাম তার সিংহ" আজ এতবছর পেরিয়েও চির সবুজ। মনে পড়ে পড়োশন (১৯৬৮) ছবিতে সেই মুখোমুখি দুটি জানালা দয়ে নায়ক নায়িকা দুজনের পক্ষে থেকে একপক্ষে তামিল সংগীত শিক্ষকের ভূমিকায় মেহমুদ এবং অন্যপক্ষে কিশোর কুমার। সেই মুখোমুখি জানালা দিয়ে নায়িকার উদ্দেশ্যে নায়কের পক্ষে গাওয়া বিখ্যাত গান - "এ চতুর নার বড় হোশিয়ার" আজও বাঙালির স্মৃতিতে রঙিন।
কিশোর কুমার ভারতীয় প্রায় সকল ভাষাতেই গান করেছিলেন, যার মধ্যে রয়েছে বাংলা, হিন্দি, মারাঠি, অসমীয়া, গুজরাটি, কন্নড়, ভোজপুরি, মালায়লম, ওড়িয়া, এবং উর্দু অন্যতম। এছাড়াও তিনি ব্যক্তিগত অ্যালবামেও বিভিন্ন ভাষায় গান করেছেন, বিশেষত তার বাংলায় গাওয়া গানগুলি আজও সর্বকালের ধ্রুপদী গান হিসেবে বিবেচিত হয়েছে। তিনি ৮ বার শ্রেষ্ঠ পুরুষ নেপথ্য গায়কের জন্য ফিল্মফেয়ার পুরস্কার পেয়েছেন এবং একই বিভাগে সর্বাধিক ফিল্মফেয়ার পুরস্কার বিজয়ের রেকর্ড করেছেন। তাকে মধ্যপ্রদেশ সরকার কর্তৃক লতা মঙ্গেশকর পুরস্কার প্রদান করা হয় এবং তার নামে হিন্দি চলচ্চিত্রে অনন্য অবদানের জন্য কিশোর কুমার পদক চালু করা হয়।সাধারণত গায়ক হিসাবে তাকে দেখা হলেও তিনি হিন্দি চলচ্চিত্র জগতের একজন গুরুত্বপূর্ণ অভিনেতাও ছিলেন। তার অভিনীত বিখ্যাত কয়েকটি কমেডি চলচ্চিত্রের মধ্যে রয়েছে বাপ রে বাপ (১৯৫৫), চলতি কা নাম গাড়ি (১৯৫৮), হাফ টিকিট (১৯৬২), পড়োশন (১৯৬৮), হাঙ্গামা (১৯৭১), পেয়ার দিবানা (১৯৭৩), বাড়তি কা নাম দাড়ি (১৯৭৪)। এছাড়া অন্যান্য বিখ্যাত সিনেমার ভিতর রয়েছে নোকরি, বন্দী, দূর গগন কি ছাঁও মে, দূর কা রাহি প্রভৃতি। ১৯৮৭ সালের ১৩ অক্টোবর তিনি পরলোকগমন করেন।
সহকারী অধ্যাপক,সংস্কৃত বিভাগ,চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়।
সভাপতি, সনাতন বিদ্যার্থী সংসদ।

মন্তব্যগুলো দেখুনমন্তব্যগুলো লুকান🙁