ধর্ম নির্ণয়ে বেদই একমাত্র প্রমাণ; পুরাণ এবং স্মৃতি সহায়ক মাত্র

বর্তমানে সনাতন ধর্মাবলম্বী কিছু ব্যক্তি প্রধান ধর্মগ্রন্থ বেদকে পাশ কাটিয়ে শুধু পৌরাণিক গ্রন্থ অথবা বিভিন্ন বাবাগুরুদের লেখা ছড়ার বই, গ...

"রণে, বনে, জলে, জঙ্গলে" -এর প্রেক্ষাপট।

 "রণে, বনে, জলে, জঙ্গলে" -এর প্রেক্ষাপট

"রণে, বনে, জলে, জঙ্গলে" -এর প্রেক্ষাপট      লোকনাথ ব্রহ্মচারী তাঁর শিষ্যদের কাছে নিয়মিত চিঠি লিখতেন। কিন্তু লোকনাথ ব্রহ্মচারীর শিষ্য এবং ভক্তরা   সে চিঠি সংরক্ষণ করে রাখতে পারেননি।তাই কয়েকটি বাদে অধিকাংশ চিঠিই আর পাওয়া যায় না। কালের পরিক্রমায় হারিয়ে গেছে। বর্তমানে সামান্য কয়েকটি চিঠি পাওয়া যায়। সে চিঠিগুলো হরিপদ ভৌমিকের সম্পাদনায় 'শ্রীশ্রীলোকনাথ ব্রহ্মচারীর অপ্রকাশিত পত্রাবলী ও বাণী' গ্রন্থের মধ্যে সংকলিত রয়েছে।লোকনাথ ব্রহ্মচারীর হাতে লেখা যে কয়েকটি চিঠি এখনো পাওয়া যায়।এ চিঠিগুলোর মধ্যেই লোকনাথ ব্রহ্মচারীর জগদ্বিখ্যাত বাণীটি রয়েছে।  "রণে, বনে, জলে, জঙ্গলে যেখানেই বিপদে পড়িবে আমাকে স্মরণ করিবে,আমিই রক্ষা করিবো।" আমরা অনেকেই হয়ত জানিনা এই কথাটি লোকনাথ ব্রহ্মচারী কোথায় এবং কার উদ্দেশ্যে বলেছিলেন? লোকনাথ ব্রহ্মচারীর প্রিয় শিষ্য তৎকালীন নারায়ণগঞ্জের জমিদার আনন্দকান্ত নাগকে ভবিষ্যৎ দুশ্চিন্তা এবং  বিপদ থেকে রক্ষার্থে, তাঁকে আশ্বস্ত করে লোকনাথ ব্রহ্মচারী একটা চিঠিতে কথাগুলো লিখেছিলেন।আনন্দকান্ত নাগ তাঁর কাকার সাথে তাঁদের পৈত্রিক সম্পত্তি ভাগাভাগি করতে বাধ্য হন। তবে তিনি চাননি তাদের এই সম্পত্তি এমন মনকষাকষির মাধ্যমে ভাগ হোক। কিন্তু ভাগ্যের নির্মম পরিহাস, অনিচ্ছা সত্ত্বেও আনন্দকান্ত নাগকে বিষয় সম্পত্তির রণে নামতে হয়। তখন তিনি দিশেহারা হয়ে লোকনাথ ব্রহ্মচারীর কাছে চিঠি লিখে তাঁর মার্গদর্শন এবং আশীর্বাদ কামনা করেন।শিষ্য আনন্দকান্ত নাগের দেয়া চিঠির উত্তরে লোকনাথ ব্রহ্মচারী একটি পত্রে লিখলেন- "রণে বনে জলে জঙ্গলে, আমাকে স্মরণ করিবা"। এ চিঠিটির অবশিষ্ট অংশগুলো অস্পষ্ট এবং পোকায় কাটা। একই বাক্য পাওয়া যায়, অন্য আরেকটি পত্রে। সে   বাক্যে  "রণে বনে জলে জঙ্গলে" বাক্যের শেষে "কোন বিঘ্ন হইবেক না" অংশটি পাওয়া যায়। "রণে বনে জলে জঙ্গলে, আমাকে স্মরণ করিবা, কোন বিঘ্ন হইবেক না"। নারায়ণগঞ্জের জমিদার আনন্দকান্ত নাগকে লেখা চিঠিটিতে তাঁকে বলা বাণীটিই  সামান্য পরিবর্তিত হয়ে পরবর্তীতে ব্যাপক জনপ্রিয় হয়। বাণী শুধু বাংলা নয়, সমগ্র ভারতবর্ষসহ পৃথিবীতে যেখেনেই বাঙালি সম্প্রদায়ের মানুষ রয়েছে, তাদের সকলের মাঝেই ছড়িয়ে যায়। লোকনাথ ব্রহ্মচারীর নির্দেশনায় সকল কাজ করার পরে, শিষ্য আনন্দকান্ত নাগ লোকনাথ ব্রহ্মচারীর উদ্দেশ্যে যে চিঠিটি লেখেন সে চিঠিতেই তাঁর আপন কাকার ছল ও প্রতারণার বিবরণটি পাওয়া যায়। গুরু লোকনাথ ব্রহ্মচারীকে উদ্দেশ্য করে আনন্দকান্ত নাগ লিখেন: "বহুব বিনয়ে করপাটে প্রণিপাত পূর্ব্বক পাদপদ্মে নিবেদনমিদং— মহাশয়ের মহান আজ্ঞা পত্রিকা প্রাপ্ত ও শিরে ধার্য্য করিলাম ও নির্ভয় হইলাম, কিন্তু লিখিয়াছেন যে তুমি কি প্রতারণা বুঝিয়াছ, তাহা নহে। এইরূপ লিপির কারণ কি, আমার নিবেদিত পত্রে মূল কৰ্ত্তাটি অর্থাৎ খুল্লতাত মহাশয়ের ছল ও প্রতারণার প্রসঙ্গ করা হইয়াছে। ঐ স্হানে চিহ্ন দিয়া দাওয়া গেল, পুন দৃষ্টি করিতে আজ্ঞা হয়। অপর এ সেবকের পরিবার বিভিন্নতার জন্য নিতান্তই ব্যাকুল হইয়াছে। বিশেষ মধ্যমা ঠাকুরাণীর যন্ত্রণাতে বিশেষানু বিশেষ খল্লতাত মহাশয় বিত্ত ক্রয় করিয়া তাহান নিজ প্রকাশ কারণে তাহান সঙ্গে একান্নভুক্ত থাকা নিতান্তই ক্ষতির কারণ হইয়া উঠিয়াছে অতএব এখন পৃথক অন্ন হওয়াই কাম্য বটে। কিন্তু পৃথক অন্ন হওয়াটি এ সেবকাধমের পক্ষে মঙ্গলজনক কিনা তাহা মহান জ্ঞান দ্বারায় স্পষ্ট রূপে এ সেবককে জানাইতে আজ্ঞা হয়, যে হেতুক আমার কিসে মঙ্গল, কিসে অমঙ্গল, তাহা আমি জানিনা, মহাশয় মহান জ্ঞান দ্বারায় তাবতই জানেন, এবং অঘট ঘটাইতে মহাশয় ক্ষমবান বটেন, পাদপদ্মে অধিক কি নিবেদিব। ইতি ১২৭৭–২৯ আশ্বিন সেবকাধম সেবক জানিত" আনন্দকান্ত নাগ লোকনাথ বাবাকে যে চিঠি লিখেছেন এবং লোকনাথ বাবা আনন্দকান্ত নাগকে যে উত্তর দিয়েছেন, কয়েকটি ছাড়া সকল চিঠিতে সন-তারিখের উল্লেখ নেই।  আনন্দকান্ত নাগের লেখা একটি চিঠিতে সন ও তারিখ দেওয়া রয়েছে ১২৭৭ বঙ্গাব্দের ২৯ আশ্বিন। অন্য কয়েকটি চিঠিতে সনের উল্লেখ নেই, শুধু  মাস দিনের উল্লেখ রয়েছে:  ২০ কার্ত্তিক, ২৮ শ্রাবণ ইত্যাদি । লোকনাথ বাবার লেখা চিঠিগুলির মধ্যে, কয়েকটি চিঠিতে সাল না থাকলেও দিন এবং মাস উল্লেখ রয়েছে। যেমন : ১লা পৌষ, ১০ই মাঘ ইত্যাদি।  আনন্দকান্ত নাগের চিঠি থেকে বুঝতে পারা যায় চিঠিগুলি ১২৭৭ বঙ্গাব্দের দিকে লেখা। অর্থাৎ  ১৮৭০ খ্রিস্টাব্দের আশ্বিন মাস পূর্ববর্তী এবং পরবর্তীতে গুরু লোকনাথ ব্রহ্মচারী এবং শিষ্য আনন্দকান্ত নাগের চিঠিগুলো লেখা ৷ সে হিসেবে আমরা সুস্পষ্টভাবে সিদ্ধান্ত নিতে পারি যে, লোকনাথ ব্রহ্মচারী   "রণে, বনে, জলে, জঙ্গলে যেখানেই বিপদে পড়িবে আমাকে স্মরণ করিবে,আমিই রক্ষা করিবো" -এ জগদ্বিখ্যাত বাণীটি ১৮৭০ খ্রিস্টাব্দের আশ্বিন মাস অথবা আশ্বিন মাস পূর্ববর্তী কোন মাসে প্রদান করেছিলেন। অর্থাৎ মাস নির্দ্বিধায় বলা না গেলেও, সালটি নির্দ্বিধায় বলা যায় যে,  সালটি হল ১২৭৭ বঙ্গাব্দ এবং ইংরেজি ১৮৭০ খ্রিস্টাব্দ।  লোকনাথ ব্রহ্মচারীর লিখিত চিঠিতে একটি বিষয় অধিকাংশ ক্ষেত্রেই দৃশ্যমান। তা হল- তিনি প্রায় প্রত্যেকটি চিঠির শুরুতেই পরমেশ্বরের সর্বোত্তম নাম 'ওঁ' লিখে চিঠি লেখা শুরু করতেন। তাই বর্তমানে লোকনাথ ব্রহ্মচারীর ভক্তদের উচিত সকল কর্ম ওঁ লিখে শুরু করা।  তথ্য সহায়তা: ১.হরিপদ ভৌমিক সম্পাদিত, 'শ্রীশ্রীলোকনাথ ব্রহ্মচারীর অপ্রকাশিত পত্রাবলী ও বাণী', শ্রীলোকনাথ মন্দির, তেঘরিয়া, কলকাতা: দ্বিতীয় মুদ্রণ, ১৪০০   শ্রীকুশল বরণ চক্রবর্ত্তী সহকারী অধ্যাপক,সংস্কৃত বিভাগ,চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়। সভাপতি, সনাতন বিদ্যার্থী সংসদ। ফেসবুক পোস্ট লিঙ্ক :  "রণে, বনে, জলে, জঙ্গলে" -এর প্রেক্ষাপট ফেসবুক পেজ লিঙ্ক :  Shri Kushal Baran Chakraborty | Facebook


লোকনাথ ব্রহ্মচারী তাঁর শিষ্যদের কাছে নিয়মিত চিঠি লিখতেন। কিন্তু লোকনাথ ব্রহ্মচারীর শিষ্য এবং ভক্তরা সে চিঠি সংরক্ষণ করে রাখতে পারেননি।তাই কয়েকটি বাদে অধিকাংশ চিঠিই আর পাওয়া যায় না। কালের পরিক্রমায় হারিয়ে গেছে। বর্তমানে সামান্য কয়েকটি চিঠি পাওয়া যায়। সে চিঠিগুলো হরিপদ ভৌমিকের সম্পাদনায় 'শ্রীশ্রীলোকনাথ ব্রহ্মচারীর অপ্রকাশিত পত্রাবলী ও বাণী' গ্রন্থের মধ্যে সংকলিত রয়েছে।লোকনাথ ব্রহ্মচারীর হাতে লেখা যে কয়েকটি চিঠি এখনো পাওয়া যায়।এ চিঠিগুলোর মধ্যেই লোকনাথ ব্রহ্মচারীর জগদ্বিখ্যাত বাণীটি রয়েছে।
"রণে, বনে, জলে, জঙ্গলে যেখানেই বিপদে পড়িবে আমাকে স্মরণ করিবে,আমিই রক্ষা করিবো।"
আমরা অনেকেই হয়ত জানিনা এই কথাটি লোকনাথ ব্রহ্মচারী কোথায় এবং কার উদ্দেশ্যে বলেছিলেন? লোকনাথ ব্রহ্মচারীর প্রিয় শিষ্য তৎকালীন নারায়ণগঞ্জের জমিদার আনন্দকান্ত নাগকে ভবিষ্যৎ দুশ্চিন্তা এবং বিপদ থেকে রক্ষার্থে, তাঁকে আশ্বস্ত করে লোকনাথ ব্রহ্মচারী একটা চিঠিতে কথাগুলো লিখেছিলেন।আনন্দকান্ত নাগ তাঁর কাকার সাথে তাঁদের পৈত্রিক সম্পত্তি ভাগাভাগি করতে বাধ্য হন। তবে তিনি চাননি তাদের এই সম্পত্তি এমন মনকষাকষির মাধ্যমে ভাগ হোক। কিন্তু ভাগ্যের নির্মম পরিহাস, অনিচ্ছা সত্ত্বেও আনন্দকান্ত নাগকে বিষয় সম্পত্তির রণে নামতে হয়। তখন তিনি দিশেহারা হয়ে লোকনাথ ব্রহ্মচারীর কাছে চিঠি লিখে তাঁর মার্গদর্শন এবং আশীর্বাদ কামনা করেন।শিষ্য আনন্দকান্ত নাগের দেয়া চিঠির উত্তরে লোকনাথ ব্রহ্মচারী একটি পত্রে লিখলেন- "রণে বনে জলে জঙ্গলে, আমাকে স্মরণ করিবা"। এ চিঠিটির অবশিষ্ট অংশগুলো অস্পষ্ট এবং পোকায় কাটা। একই বাক্য পাওয়া যায়, অন্য আরেকটি পত্রে। সে বাক্যে "রণে বনে জলে জঙ্গলে" বাক্যের শেষে "কোন বিঘ্ন হইবেক না" অংশটি পাওয়া যায়।

"রণে বনে জলে জঙ্গলে, আমাকে স্মরণ করিবা, কোন বিঘ্ন হইবেক না"।

নারায়ণগঞ্জের জমিদার আনন্দকান্ত নাগকে লেখা চিঠিটিতে তাঁকে বলা বাণীটিই সামান্য পরিবর্তিত হয়ে পরবর্তীতে ব্যাপক জনপ্রিয় হয়। বাণী শুধু বাংলা নয়, সমগ্র ভারতবর্ষসহ পৃথিবীতে যেখেনেই বাঙালি সম্প্রদায়ের মানুষ রয়েছে, তাদের সকলের মাঝেই ছড়িয়ে যায়। লোকনাথ ব্রহ্মচারীর নির্দেশনায় সকল কাজ করার পরে, শিষ্য আনন্দকান্ত নাগ লোকনাথ ব্রহ্মচারীর উদ্দেশ্যে যে চিঠিটি লেখেন সে চিঠিতেই তাঁর আপন কাকার ছল ও প্রতারণার বিবরণটি পাওয়া যায়। গুরু লোকনাথ ব্রহ্মচারীকে উদ্দেশ্য করে আনন্দকান্ত নাগ লিখেন:
"বহুব বিনয়ে করপাটে প্রণিপাত পূর্ব্বক পাদপদ্মে
নিবেদনমিদং—
মহাশয়ের মহান আজ্ঞা পত্রিকা প্রাপ্ত ও শিরে ধার্য্য করিলাম ও নির্ভয় হইলাম, কিন্তু লিখিয়াছেন যে তুমি কি প্রতারণা বুঝিয়াছ, তাহা নহে। এইরূপ লিপির কারণ কি, আমার নিবেদিত পত্রে মূল কৰ্ত্তাটি অর্থাৎ খুল্লতাত মহাশয়ের ছল ও প্রতারণার প্রসঙ্গ করা হইয়াছে। ঐ স্হানে চিহ্ন দিয়া দাওয়া গেল, পুন দৃষ্টি করিতে আজ্ঞা হয়। অপর এ সেবকের পরিবার বিভিন্নতার জন্য নিতান্তই ব্যাকুল হইয়াছে। বিশেষ মধ্যমা ঠাকুরাণীর যন্ত্রণাতে বিশেষানু বিশেষ খল্লতাত মহাশয় বিত্ত ক্রয় করিয়া তাহান নিজ প্রকাশ কারণে তাহান সঙ্গে একান্নভুক্ত থাকা নিতান্তই ক্ষতির কারণ হইয়া উঠিয়াছে অতএব এখন পৃথক অন্ন হওয়াই কাম্য বটে। কিন্তু পৃথক অন্ন হওয়াটি এ সেবকাধমের পক্ষে মঙ্গলজনক কিনা তাহা মহান জ্ঞান দ্বারায় স্পষ্ট রূপে এ সেবককে জানাইতে আজ্ঞা হয়, যে হেতুক আমার কিসে মঙ্গল, কিসে অমঙ্গল, তাহা আমি জানিনা, মহাশয় মহান জ্ঞান দ্বারায় তাবতই জানেন, এবং অঘট ঘটাইতে মহাশয় ক্ষমবান বটেন, পাদপদ্মে অধিক কি নিবেদিব।
ইতি ১২৭৭–২৯ আশ্বিন
সেবকাধম সেবক জানিত"
আনন্দকান্ত নাগ লোকনাথ বাবাকে যে চিঠি লিখেছেন এবং লোকনাথ বাবা আনন্দকান্ত নাগকে যে উত্তর দিয়েছেন, কয়েকটি ছাড়া সকল চিঠিতে সন-তারিখের উল্লেখ নেই। আনন্দকান্ত নাগের লেখা একটি চিঠিতে সন ও তারিখ দেওয়া রয়েছে ১২৭৭ বঙ্গাব্দের ২৯ আশ্বিন। অন্য কয়েকটি চিঠিতে সনের উল্লেখ নেই, শুধু মাস দিনের উল্লেখ রয়েছে: ২০ কার্ত্তিক, ২৮ শ্রাবণ ইত্যাদি । লোকনাথ বাবার লেখা চিঠিগুলির মধ্যে, কয়েকটি চিঠিতে সাল না থাকলেও দিন এবং মাস উল্লেখ রয়েছে। যেমন : ১লা পৌষ, ১০ই মাঘ ইত্যাদি। আনন্দকান্ত নাগের চিঠি থেকে বুঝতে পারা যায় চিঠিগুলি ১২৭৭ বঙ্গাব্দের দিকে লেখা। অর্থাৎ ১৮৭০ খ্রিস্টাব্দের আশ্বিন মাস পূর্ববর্তী এবং পরবর্তীতে গুরু লোকনাথ ব্রহ্মচারী এবং শিষ্য আনন্দকান্ত নাগের চিঠিগুলো লেখা ৷ সে হিসেবে আমরা সুস্পষ্টভাবে সিদ্ধান্ত নিতে পারি যে, লোকনাথ ব্রহ্মচারী
"রণে, বনে, জলে, জঙ্গলে যেখানেই বিপদে পড়িবে আমাকে স্মরণ করিবে,আমিই রক্ষা করিবো" -এ জগদ্বিখ্যাত বাণীটি ১৮৭০ খ্রিস্টাব্দের আশ্বিন মাস অথবা আশ্বিন মাস পূর্ববর্তী কোন মাসে প্রদান করেছিলেন। অর্থাৎ মাস নির্দ্বিধায় বলা না গেলেও, সালটি নির্দ্বিধায় বলা যায় যে, সালটি হল ১২৭৭ বঙ্গাব্দ এবং ইংরেজি ১৮৭০ খ্রিস্টাব্দ। লোকনাথ ব্রহ্মচারীর লিখিত চিঠিতে একটি বিষয় অধিকাংশ ক্ষেত্রেই দৃশ্যমান। তা হল- তিনি প্রায় প্রত্যেকটি চিঠির শুরুতেই পরমেশ্বরের সর্বোত্তম নাম 'ওঁ' লিখে চিঠি লেখা শুরু করতেন। তাই বর্তমানে লোকনাথ ব্রহ্মচারীর ভক্তদের উচিত সকল কর্ম ওঁ লিখে শুরু করা।
তথ্য সহায়তা:
১.হরিপদ ভৌমিক সম্পাদিত, 'শ্রীশ্রীলোকনাথ ব্রহ্মচারীর অপ্রকাশিত পত্রাবলী ও বাণী', শ্রীলোকনাথ মন্দির, তেঘরিয়া, কলকাতা: দ্বিতীয় মুদ্রণ, ১৪০০


সহকারী অধ্যাপক,সংস্কৃত বিভাগ,চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়।
সভাপতি, সনাতন বিদ্যার্থী সংসদ।
ফেসবুক পেজ লিঙ্ক : Shri Kushal Baran Chakraborty | Facebook
মন্তব্যগুলো দেখুনমন্তব্যগুলো লুকান🙁