হিন্দুজাগৃতিগীত
জাগো, জাগো, জাগোরে হিন্দু
জাগোরে আজি,
নতুন সূর্য উদিছে আজিকে
ঐ অহনার মাঝি।
কালবিভাবরী কেটে গিয়ে,
আজ হাসছে কিরণ রবি;
কতকাল রবে কাল নিদ্রায়
কুম্ভকর্ণ সাজি?
মহাকাশ মাঝে জ্যোতির আলোয়
গিয়েছে আজিকে ভরি।
পুরু-চন্দ্র-পুষ্যমিত্র-গুপ্ত রাজারা আজি,
সেই পথবেয়ে রয়েছে উজ্জ্বল শশাঙ্ক-শিবাজী।
আরো আরো কত নক্ষত্র মোদের দেখাচ্ছে পথ।
এরপরও কি ঘরে বসে থাকা যায়রে নপুংসক!
ঋষিদের দেখানো পথই মোদের
একমাত্র সম্বল-'সত্য সনাতন'
মনুষ্যত্বের মহাবল।
শতহিংসা-দ্বেষ-লাঞ্চনা দিয়ে
মুছে দিতে পারেনি যে পথকে
ম্লেচ্ছ, যবন, তুর্কি, পাঠানের দল।
ধূমকেতুর মতো এসেছিলো যেথা
শংকর, রামানুজ, রামানন্দ, গৌরাঙ্গ,
রবিদাস,তুলসীদাস, অরবিন্দ, বিবেকানন্দ।
আরো, আরো কত নাম শোনাবো তোমাদের
আকাশের পানে চাও;
যেথা জ্বলজ্বল করে আছে সদা
ধ্রুবতারাসম অক্ষয় হিন্দু শ্রেষ্ঠ সন্তানেরা।
মর্ত্যের অমর্ত্য নায়কেরা সমাজ সংস্কারে ,
ক্লেশ মিটাতে পরশুরাম হয়েছে যারা;
সংস্কারের কুঠারে ছিন্ন করেছে
সমাজের অকারণ শৃঙ্খলের জঞ্জাল।
রামমোহন, বিদ্যাসাগর, বঙ্কিম, তিলক,রবীন্দ্রনাথ
এ অক্ষয় পুণ্যপ্রাণদের চিন্তাস্রোত আজও বহমান।
তবে এবার ভয় কি তোদের
-'অমৃতের পুত্রগণ'
রুখে দ্বারা আজ বিদ্যুতবেগে,
অমীত দুঃসাহসে ;
অমনি দেখবি পালাবে সাপ
ভীষণ মরণত্রাসে।
ভয়ে হীনবীর্য হয়ে তোরা,
চিনতে পারলিনা আপনকে;
ব্রহ্মের সন্তান আমরাই যে অমৃতের পুত্র।
পৃথিবীর বুকে আমরাই
প্রথম এনেছি বৈদিক সাম্যবাদ।
যেথা ঋষিকন্ঠে ধ্বনিত হয়েছিল-
'সং গচ্ছধ্বং সংবদধ্বং সংবো মনাংসি জানতাম।'
সাম্যবাদের আদর্শের চেতনায়
হতে চেয়েছি দেবতা;
দুষ্ট অসুরের দল তাকেই
মনে করেছে ক্লীবতা।
শান্তিপ্রিয় মানবের মাঝে
ঝাপিয়ে পড়েছে ;
হাতে নিয়ে উলঙ্গ তরবারি।
মেরে কেটে গেয়েছে অসুরের জয়গান
দিকে দিকে করেছে মানবতার অপমান।
'উত্তিষ্ঠত জাগ্রত প্রাপ্য বরান্ নিবোধত।'
শ্রুতির এ আহ্বানে জেগে উঠো আজ
নিঃশঙ্ক চিত্তে অনন্ত প্রেরণায় ;
নিজে উদ্ভোধিত হয়ে, কর জগৎ আলোকময়।
এ আকাঙ্ক্ষায় জেগে আছি সদা দিপ্ত প্রহরায়
অসুর নাশ করে, কর শুভ শক্তির জয়।
সহকারী অধ্যাপক,সংস্কৃত বিভাগ,চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়।
সভাপতি, সনাতন বিদ্যার্থী সংসদ।
কবিতাটি সম্পর্কে মতামত দিবেন।
কবিতাটিতে যদি আরও কোন লাইন সংযুক্ত করতে হয়, তবে কমেন্টে লিখে দিন।
ফেসবুক পেজ লিঙ্ক ঃ
ফেসবুক পেজ লিঙ্ক ঃ